১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে (2024)

১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগেঃ আপনি নিশ্চয় একটা পাসপোর্ট বানাতে চাচ্ছেন। কিন্তু কি কি কাগজ লাগবে তা আপনি জানেন না। এর ফলে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে যখন তারা বলে বাকি কাগজপত্রগুলো নিয়ে আসেন তখন নিজের উপরই রাগ ওঠে।

১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছাড়া কখনোই একটি পাসপোর্ট তৈরি করা সম্ভব নয়। পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে আপনাকে কিছু কাগজপত্র আগে থেকে জোগাড় করতে হবে। পাসপোর্ট অফিস তো কমবেশি সকলেরই একটু দূরেই হয়। তাই পাসপোর্ট অফিস গিয়ে যেন আবার ফিরে আসা না হয় এজন্য আপনাকে আগে থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে তা জেনে নিতে হবে। 

তাই এই পোস্টে আপনাদের জানাবো ৫ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। ৫ বছর কিংবা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে সাধারণত একই ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট তৈরিতে যা যা লাগে তা epassport gov bd এবং পাসপোর্ট অফিস কর্মকর্তাদের থেকে নেওয়া হয়েছে।

১. ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড

আপনার এন আইডি কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি দরকার হবে। যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ফটোকপি দরকার হবে। 

২. বাবা মার এনআইডি কার্ড

আপনার বাবা ও মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, যদি নিজের এন আইডি কার্ড না থাকে।

৩. নাগরিক সনদপত্র

তারপর প্রয়োজন হবে আপনার নাগরিক সনদপত্র, যেটা আপনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পেয়ে যাবেন। অনেক সময় নাগরিক সনদপত্র চেয়ে বসেন। যদিও এটা পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ নেই।

৫. পেশার প্রমান পত্র

যদি আপনি ডাক্তার হয়ে থাকেন তাহলে ডক্টরের সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। ড্রাইভার হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স, চাকরিজীবী হলে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র বা GO/NOC, স্টুডেন্ট হলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/ সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট ইত্যাদি।

৬. ঠিকানার প্রমাণপত্র

ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে আপনি একটা বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়ে যেতে পারেন। অথবা বাসার হোল্ডিং নাম্বার এর কাগজ নিয়ে যেতে পারেন।

৭. পাসপোর্ট এর মূলকপি ও ফটোকপি

যদি আপনার আগে থেকে পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে সেটাকে রিনিউ করতে চাইলে পাসপোর্ট এর মুলকপি ও ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে।

উপরোক্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর এ আবেদনটি আপনি নিজের ফোন অথবা ল্যাপটপ দিয়ে করতে পারেন। অথবা আপনি নিকটস্থ কম্পিউটার দোকানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। অথবা আপনি দালাল ধরে উক্ত কাগজ পাতি নিয়ে গেলে তারা সবকিছু করে দিবে।

৮. অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম

পাসপোর্ট এর জন্য যখন আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন তখন ৩ পৃষ্ঠার একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পিডিএফ পাবেন। সেটাকে প্রিন্ট করে নিতে হবে।

৯. অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সামারি

অনলাইনে আবেদন করার সময় সেখানে একটা সামারি বা সারাংশ পাবেন, সেটাকেও প্রিন্ট করে নিতে হবে।

১০. পেমেন্ট স্লিপ

পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যায় দুইভাবে। একটা হচ্ছে অনলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে আরেকটা হচ্ছে অফলাইন পেমেন্ট এর মাধ্যমে। যদি অফলাইন পেমেন্ট করেন তাহলে সোনালী ব্যাংক এ গিয়ে আপনি টাকা জমা দিবেন। সোনালী ব্যাংক থেকে আপনাকে একটা পেমেন্ট স্লিপ দেবে সেটা নিয়ে যাবেন। আর যদি অনলাইনে বা Ekpay থেকে পেমেন্ট করেন তাহলে সেই পেমেন্টের একটা প্রিন্ট কপি নিয়ে যেতে হবে।

ছোট বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

৬ বছরের নিচের বাচ্চাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্পষ্টভাবে পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ নেই। তবে পাসপোর্ট অফিস থেকে জানা যায় বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে যা যা লাগে-

  • পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড
  • বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন (ডিজিটাল কপি)
  • বাচ্চার 3R (ল্যাব প্রিন্ট, গ্রে কালার ব্যাকগ্রাউন্ড) সাইজের এক কপি ছবি
  • বাচ্চার ও বাবা মায়ের এক কপি করে পাসপোর্ট ছবি
  • অভিভাবক হিসেবে বাচ্চার পাসপোর্ট তৈরিতে সম্মতি প্রধান হিসেবে NOC প্রিন্ট কপি লাগবে।

কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পরে বাচ্চা মা ও বাবা সবাইকে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।

১৮ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্করা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে পারবে না। তাদেরকে অবশ্যই ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে হবে এবং সেটা হবে ৪৮ পৃষ্ঠার।

বন্ধুরা আশা করছি ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে তা পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। যদি আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। যেন তারাও পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে তা জানতে পারে।

অন্য পোস্ট -

পাসপোর্ট চেক করার উপায় 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url