২০২৪ সালে কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না

কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে নাঃ আপনি নিশ্চয়ই একজন ইউটিউবার কিংবা ইউটিউবিং করবেন বলে ভাবছেন। যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি সম্পর্কে জানতে হবে। সবার আগে আপনাকে জানতে হবে‌যে, ২০২৪ সালে কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন হবে না।

সালে কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না || ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি

আমরা প্রতিনিয়ত অনেক কষ্ট করে নিয়মিত youtube এ ভিডিও আপলোড করি। কিন্তু ভিডিও আপলোড করার পর যদি দেখেন যে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দিচ্ছে। তাহলে কি হবে? মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়বে। এজন্য সঠিক রাস্তা বুঝে ইউটিউবে কাজ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে গিয়ে পস্তাতে হবে।

২০২৩ সালে কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না

"ঝোপ বুজে কোপ মারো" একটা প্রবাদ আছে। অর্থাৎ আপনাকে কষ্ট করতে হলে সঠিক রাস্তায় করতে হবে। সহজে যদি কোন কিছু পাওয়া যায় মানুষ তো হীরাকেও মানুষ কয়লা ভাবে।

সুতরাং ইউটিউবে অরিজিনাল একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে গেলে আপনাকে আগে ইউটিউবের রুলস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ফোনে youtube apps আছে। এখনকার সময়ে ইউটিউবে ভিউয়ার্স এর তুলনায় ক্রিয়েটরের সংখ্যা যেন বেশি হয়ে যাচ্ছে।

এই প্রচুর কম্পিটিশন এর মধ্যে যদি আপনি অনেক কষ্ট করে ভিডিও বানিয়ে ৪০০০ ঘন্টা এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ করে যদি মনিটাইজেশন না পান তাহলে এর চেয়ে আর দুঃখজনক আর কিছুই নেই।

আর তাই আজ আপনাদেরকে ২০টি ক্যাটাগরির ইউটিউব চ্যানেলের কথা বলবো। এগুলোর মধ্যে যদি আপনার চ্যানেল পড়ে যায় তাহলে আপনি সেই ক্যাটাগরি ভিডিও বানানো অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা জেনে নেই কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে নাঃ-

শর্ট ভিডিও কপি পেস্ট চ্যানেল

বর্তমানে ইউটিউবের একটা ট্রেনিং বিষয় হচ্ছে ইউটিউব শর্টস। শর্ট ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউস আসে এবং সহজেই ভাইরাল হয়। শর্ট ভিডিও থেকে মাত্র ১০ মিলিয়ন ভিউ হলেই ইউটিউব এ মনিটাইজেশন অন করা যাবে।

আমরা অনেকেই আছি যারা tiktok, likee, snake  ভিডিও কিংবা ফেসবুক থেকে ছোট ছোট ভিডিও ডাউনলোড করে আমরা ইউটিউবে আপলোড করি। এটা অবশ্যই ইউটিউব ধরতে পারে তাই এই ধরনের শর্ট ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে না।

মিক্স ক্যাটাগরির চ্যানেল

মিক্স ক্যাটাগরির চ্যানেল হয়ে থাকলে কখনোই আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজেশন হবে না। মিক্স ক্যাটাগরি চ্যানেল এর মানে হলো- আপনার যদি টেক চ্যানেল হয় তাহলে তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র টেক রিলেটেড ভিডিও দিতে হবে।

যদি আপনি আপনার ঠিক চ্যানেলে কুকিং, কিংবা ইন্টারটেইনমেন্ট, গেমিং ইত্যাদি যেকোনো ক্যাটাগরির যদি এলোমেলো তবে কেউ ভিডিও আপলোড করেন তাহলে সেটা হয়ে যাবে মিক্স কন্টেন্ট।

আপনি যে ক্যাটাগরির ভিডিও বানাবেন সেই ধরনের ভিডিওই আপলোড করতে হবে। অন্যথায় মনিটাইজেশন পাবেন না।

পাশাপাশি আপনার ভিডিও গুলো র‍্যাংক করবে না। এর কারণ হলো যারা আপনার ভিডিও দেখে সাবস্ক্রাইব করবে, তারা আপনার চ্যানেল থেকে পরবর্তীতে ওই ধরনের ভিডিওই পছন্দ করবে।

কিন্তু আপনি যদি পরবর্তীতে ওই ধরনের ভিডিও আপলোড না করে অন্য একটা টপিকে ভিডিও দেন তাহলে সেই দর্শকরা সেটা দেখবে না। ফলে আপনার ভিডিও ডাউন হয়ে যাবে।

কম্পাইলেশন ভিডিও চ্যানেল

কম্পাইলেশন ভিডিও হচ্ছে ছোট ছোট ক্লিপ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডাউনলোড করে জোড়া তালি দিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করা।

অর্থাৎ ছোট ছোট ৫-১০ সেকেন্ডের ক্লিপ নিয়ে নিয়ে ৫ ১০ মিনিটের ভিডিও তৈরি করা। যেখানে নিজের কোন ক্রিয়েটিভিটি থাকেনা কিংবা ভয়েস থাকেনা। এই ধরনের কনটেন্ট হলে মনিটাইজেশন পাবেন না।

ইমেজ স্লাইড শো ভিডিও চ্যানেল

একটা সময় ছিল যখন ইমেজ স্লাইড শো ইউটিউব ভিডিওগুলো খুব পরিমাণে চলতো এবং মনিটাইজেশন পাওয়া খুব সহজ ছিল।

কিন্তু যখন এটা অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তখন এ টু ঘোষণা দিয়ে দেয় যে ইমেজ স্লাইড শো ক্যাটাগরির ভিডিও মনিটাইজেশন পাবে না।

ইমেজ স্লাইড শো ভিডিও বলতে বোঝায় যে শুধুমাত্র কিছু ইমেজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করা। যেখানে নিজের ভয়েস থাকে না এবং কোন টেক্সট ক্যাপশন থাকে না।

যদি আপনি ইমেজ স্লাইড শো ভিডিও তৈরি করে মনিটাইজেশন পেতে চান তাহলে নিজের ভয়েস অ্যাড করতে হবে এবং ইমেজের সাথে টেক্সট ও ক্যাপশন অ্যাট করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ভিডিও চ্যানেল

হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ভিডিও কখনোই মনি রিলেশন পাবে না। কারণ যারা এই ধরনের ভিডিও তৈরি করে তাদের নিজস্ব ভিডিও হয় না। বেশিরভাগ ভিডিও মিউজিক বা ক্লিপ অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করে whatsapp স্ট্যাটাস ভিডিও তৈরি করা হয়।

গেমিং চ্যানেল চ্যানেল (ভয়েস না থাকলে)

যদি আপনার youtube চ্যানেল গেমিং ক্যাটাগরি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ভয়েস এড করতে হবে। যদি আপনি গেমিং ভিডিওতে শুধুমাত্র একটা মিউজিক দিয়ে ভিডিও আপলোড করেন, আপনার ভয়েস না দেন তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না।

কপি-পেস্ট ভিডিও চ্যানেল

অনেকেই আছেন ইউটিউবে কপিরাইট নিয়ে কাজ করেন। ইউটিউবে কিছু কিছু কপি করা যায় ফেয়ার ইউজ এর আন্ডারে। কিন্তু যদি অন্যের পুরো ভিডিও কপি করে আপলোড করতে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই মনিটাইজেশন পাবেন না। ইউটিউব আপনাকে ধরে ফেলবে।

রিআপলোড কন্টেন্ট চ্যানেল

আরে আপলোড কন্টেন্ট বলতে বুঝায় অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক instagram, tiktok ইত্যাদি থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে হুবহু আপলোড করলে সেটা আপলোড কন্টেন্ট হয়ে যায়। ইউটিউব সব অনেক স্মার্ট। ইউটিউবের চোখ ফাকি দিয়ে সহজেই আপনি মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন না।

ডিজে, রিমিক্স গানের ক্যাটাগরির চ্যানেল

অন্যের কোন একটা অফিসিয়াল মিউজিক আপনি ভলিউম কমিয়ে বাড়িয়ে কিংবা স্লো মোশন, ফার্স্ট মোশন করে ডিজে গান যদি তৈরি করেন বা রিমিক্স মিউজিক তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করলে সেটা ইউটিউব গ্রহণ করবে না। এরকম চ্যানেল হলে আপনি টেনশন পাবেন না।

ডান্স কভার চ্যানেল

ড্যান্স চ্যানেল গুলো সহজে মনিটাইজ হয় না কেননা ডান্স চ্যানেলে যে মিউজিক ব্যবহার করা হয় সেগুলো অন্যের মিউজিক হয়ে থাকে। তবে যদি আপনার চ্যানেলে কপিরাইট ক্লেইম বেশি পরিমাণে না থাকে তাহলে মনিটাইজেশন পাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু যদি বেশি পরিমাণে অর্থাৎ পাঁচ ছয়টার উপরে কপিরাইট ক্লেইম থাকে তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না। যদি আপনার নিজের মিউজিক হয় তাহলে সমস্যা হবে না।

নিউজ রিডিং ক্যাটাগরির চ্যানেল

অনেক এমন চ্যানেল আছে যারা কোন একটা পত্রিকা হাতে নিয়ে কিংবা একটা বই নিয়ে শুধু পড়তে থাকে এবং সেটা ভিডিও করতে থাকে। এই ধরনের চ্যানেল হলে সেটার মনিটাইজেশন গ্রহণযোগ্য নয়।

টিভি সিরিয়াল/ওয়েব সিরিজ/মুভি আপলোড চ্যানেল

যদি আপনি অন্যের টিভি সিরিয়াল এর ভিডিও আপলোড করেন বা ওয়েব সিরিজ থেকে মুভি ডাউনলোড করে ইউটিউবে আপলোড করেন তাহলে মনিটাইজেশন অন হবে না।

মুভি কোম্পানির মালিক অনেক টাকা খরচ করে মুভি আপলোড মুভি তৈরি করেন আর সেটা আপনি ইউটিউবে ফ্রিতে দিয়ে দিলে আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন কখনোই হবে না।

Gambling/জুয়া খেলার ভিডিও ক্যাটাগরির চ্যানেল

যদি আপনার চ্যানেলটা গেমব্লিং বা জুয়া খেলা সম্পর্কিত রিভিউ সাইট হয় তাহলে মনিটাইজেশন পেতে সমস্যা হবে। অনলাইনে এমন অনেক বেটিং সাইট আছে যেগুলো সম্পর্কে ভিডিও বানালে আপনার চ্যানেলে গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে। আর যদি তাও না আসে তাহলে মনিটাইজেশনে গিয়ে ধরা খাবেন।

ক্রাকিং ও হ্যাকিং ক্যাটাগরির চ্যানেল

ফেসবুক আইডি হ্যাক সম্পর্কিত ভিডিও বা যেকোনো প্রকারের হ্যাক সম্পর্কিত ভিডিও গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া বিভিন্ন অ্যাপস এর প্রিমিয়াম ভার্সন কি ফ্রিতে কিভাবে ডাউনলোড করা যায় কিংবা কোন একটা পেইড বা প্রিমিয়াম সার্ভিস সেটা ফ্রিতে কিভাবে নেওয়া যায়, এই ধরনের ভিডিও বানালে আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক তো আসবেই তার পাশাপাশি মনিটাইজেশনে আটকে যাবেন।

ভিডিওতে ভয়েস ও ফেস না থাকা চ্যানেল

এমন একটি ভিডিও তৈরি করলেন যেখানে আপনার নিজের ভয়েসও নেই পাশাপাশি নিজের ফেস ও নেই। যদি দুইটার একটাও না থাকে তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাওয়ার আশা করতে পারেন না।

যদি দুইটার একটা থাকে তাহলে মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে। ভিডিওতে শুধুমাত্র নিজের ভয়েস অথবা নিজের ফেস থাকলেই হবে।

ডাউনলোডিং কনটেন্ট ক্যাটাগরির চ্যানেল

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ক্যাটাগরি যদি শুধু ডাউনলোড সম্পর্কিত হয়ে থাকে যেমন কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় কিভাবে মুভি ডাউনলোড করতে হয় ইত্যাদি।

এগুলো ইউটিউব কমিউনিটি রুলস এর বাহিরে। এ ধরনের ভিডিও আপলোড করলে আপনার চ্যানেলে গাইডলাইন স্ট্রাইক এক সময় আসবে এবং মনিটাইজেশন রিজেক্ট হবে।

রোস্টিং চ্যানেল

রোস্টিং চ্যানেল সাধারণত মনিটাইজেশন হয়। কিন্তু যদি আপনি রোস্টিং চ্যানেলে রোস্টিং করতে গিয়ে গালাগালি হেড স্পেস কিংবা খারাপ বাক্য উচ্চারণ করেন তাহলে সেটা ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন রুলস এর বাহিরে পড়ে যায়। আর এইরকম যদি আপনার বেশিরভাগ ভিডিও হয় তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না।

স্পোর্ট ভিডিও চ্যানেল

স্পট ভিডিও চ্যানেল হচ্ছে খেলার চ্যানেল। যেমন বিপিএল আইপিএল কিংবা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ইত্যাদি খেলা আপনি স্ক্রিন রেকর্ড করে কিংবা টিভি থেকে রেকর্ড করে কিংবা ডাউনলোড করে আপলোড করবেন তাহলে সেই চ্যানেল কখনো মনিটাইজেশন হওয়ার যোগ্য নয়।

ক্রিয়েটিভ কমন ভিডিও ক্যাটাগরির চ্যানেল

যদি আপনি ইউটিউব এর ক্রিয়েটিভ কমন এর আন্ডারে ভিডিও গুলো ১০০% কপি পেস্ট করে মনিটাইজেশন পাওয়ার চিন্তা করেন তাহলে এখনই তা ঝেড়ে ফেলুন।

ইউটিউবের ক্রিয়েটিভ কমানোর ভিডিও গুলো শুধুমাত্র আপনি এডুকেশন পারপাস কিংবা সেই ভিডিওটিকে হালকা রি এডিট করে ইউজ করতে পারবেন। হুবহু ডাউনলোড করে রি-আপলোড করলে আপনি মনিটাইজেশন পাওয়ার যোগ্য হবেন না।

বিপদজনক শিক্ষামূলক ক্যাটাগরির চ্যানেল

অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা বিভিন্ন জিনিস শিখায় যেমনঃ বোমা কিভাবে তৈরি করতে হয়, বন্দুক কিভাবে তৈরি করতে হয় বা অপরাধমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় এমন চ্যানেল হয়ে থাকলে সেই চ্যানেল মনিটাইজেশনের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

ইউটিউব মনিটাইজেশন পলিসি

ইউটিউব ক্যাটাগরির পাশাপাশি youtube মনিটাইজেশনে কিছু পলিসি রয়েছে যেগুলো মেনে না আসলে আপনি মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন না। সেগুলো হচ্ছে -

  • খারাপ কনটেন্ট আপলোড করলেঃ যদি আপনি ভিডিওতে টাইটেল, ডেসক্রিপশন অথবা থাম্নেইলে খারাপ কোন কিছু রাখেন তাহলে মনিটাইজেশন পেতে সমস্যা হব।
  • মেটা ডেসক্রিপশন এর অসদ্ব্যবহারঃ মেটা ডেসক্রিপশন মানে হচ্ছে আপনি টাইটেলে একটা দিচ্ছেন থামলে একটা দিছেন ভিডিওতে আরেকটা দেখিয়েছেন। অনেকেই আবার ডেসক্রিপশনে অনেক ট্যাগ দিয়ে দেয় এটাকে কিওয়ার্ড স্টাফিং বলে। এর ফলে মনিটাইজেশন পেতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • রিপিটেশন কনটেন্ট আপলোডঃ রিপিটেশন কন্টেন্ট এর অর্থ হচ্ছে যদি আপনার বেশিরভাগ কনটেন্ট এর ট ্যাগ অথবা টাইটেল অথবা ডেসক্রিপশন একই রকম থাকে। অর্থাৎ আপনাকে প্রত্যেকটা ভিডিওর জন্য আলাদা আলাদা টাইটেল ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগ দিতে হবে, সেম যেন না হয়।
  • রিইউজ কন্টেন্ট আপলোডঃ রিউজ কনটেন্ট এর অর্থ হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ফুটেজ নিয়ে হুবহু আপলোড করা। হুবাহু আপলোড না করে সেখানে একটু কালার করে কিংবা একটা টেক্সট এড করে নিজের ভয়েস এড করে আপলোড করলে রিউজ কনটেন্ট ধরবেনা।
  • সাবস্ক্রাইবার ও ওয়াচ টাইম কিনা ঃ যদি আপনি বিভিন্ন সাইট থেকে ওয়াচ টাইম ও সাবস্ক্রাইবার কিনেন তাহলে ইউটিউব সেটা সহজে ধরতে পারবে। ইউটিউব আপনার চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট আপনি যেভাবেই অবৈধভাবে ওয়াচ টাইম বা সাবস্ক্রাইব অর্জন করেন সেটা ইউটিউব জানবে। ফলে মনিটাইজেশন রিজেক্ট হয়ে যাবে।
  • কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক থাকলেঃ ইউটিউবের কপিরাইট নিয়ম না মেনে ভিডিও তৈরি করলে আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক চলে আসবে। আর সেই স্টাইলটা তিন মাস পর্যন্ত আপনার চ্যানেলে থাকবে। যদি আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসে তাহলে মনিটাইজেশন অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না। আর যদি আপনার কপিরাইট স্ট্রাইক দুটি থাকে তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাবেন না।

শেষ কথা

ইউটিউবে একজন সফল কনটেন্ট ক্রিউটর হতে হলে নিজের অরিজিনাল কনটেন্ট তৈরি করুন। কপি-পেস্ট করে একজন বিখ্যাত সফল ইউটিউবার হওয়া যায় না। আশা করছি আপনারা কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবেনা এবং মনিটাইজেশনের পলিসি গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আর পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের কেউ শেয়ার করে দিবেন যেন তারাও কোন কোন চ্যানেল মনিটাইজেশন পাবে না এবং মনিটাইজেশনের পলিসি সম্পর্কে জানতে পারে। এইরকমই নিত্য নতুন সঠিক ইনফরমেশন জানতে সব সময় চলে আসুন Biostatusbd.com ওয়েবসাইটটিতে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url