কি খেলে মানুষ মোটা হয় | মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি
কি খেলে মানুষ মোটা হয় এই বিষয়টা নিশ্চয় আপনি জানতে চাচ্ছেন। যদি আপনি মোটা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিব যার মাধ্যমে আপনি মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বন্ধুরা আপনি নিশ্চয়ই একজন চিকন ও রোগা। সবাই চিকন ব্যক্তিকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং ফাইজলামি করেন। এতে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগে।
শরীর স্বাস্থ্য মোটা না থাকলে বা স্বাভাবিক চেহারা না থাকলে যে কেউ আমাদের সাথে মশকরা করবে এটা স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই, আপনি নিয়মিত আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো মেনে চলবেন। ইনশাআল্লাহ এক মাসের ভিতরেই আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
কি খেলে মানুষ মোটা হয়
মোটা হতে হলে নিয়মিত খাদ্য তালিকা বাড়াতে হবে। আপনি যে পরিমাণ খাবার খান তার থেকে অর্ধেক বা একগুন খাবার বাড়াতে হবে। তাহলে আপনি দ্রুত মোটা হতে পারবেন।
কাঁচা ছোলা ও কিচমিচ
মোটা হওয়ার সবথেকে বড় মাধ্যম হচ্ছে কাঁচা ছোলা এবং কিচমিচ নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়া। রাতে আপনি এক মুঠ কাঁচা ছোলা এবং এক মুট কিচমচ একটি পরিষ্কার ক্লাসে পানি নিয়ে সেখানে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেটা আপনি খেয়ে ফেলবেন।
প্রথম অবস্থায় খেতে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু যখন আপনি নিয়মিত রেগুলার খাবেন তখন সেটা অভ্যাস হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আপনি কাঁচা ছোলা এবং কিসমিসের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে নিবেন।
এইভাবে নিয়মিত এক মাস খেলে আপনি ভাল একটি রেজাল্ট দেখতে পারবেন। কাঁচা ছোলা এবং কিসমিস এ ভালো পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায় যা মোটা হতে সাহায্য করে।
পিস্তা বাদাম ও কাজুবাদাম
যদি সম্ভব হয় কাঁচা ছোলা ও কিসমিসের সাথে তিস্তা বাদাম ও কাজু বাদাম পাঁচটি পাঁচটি করে ভিজিয়ে রাখবেন। যদিও কাজুবাদামের দাম একটু বেশি। তবে মোটা হতে হলে তো একটু টাকা খরচ করতে হবে। আর এই সকল বাদাম ছোলা এবং কিসমিস আপনারা মোদির দোকানে পেয়ে যাবেন।
নিয়মিত দুধ কলা মধু খান
মোটা হওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হল দুধ কলা ও মধু। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একগ্লাস দুধে এক চা চামচ মধু ও কলা মিশিয়ে খাবেন। এতে আপনার শরীরের কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে দ্রুত মোটা হতে পারবেন।
দুধ কলা দিয়ে ভাত
আপনি যদি নিয়মিত দুধ কলা দিয়ে ভাত খান তাহলে খুবই তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন। দুধ ও কলাতে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট যা আপনার শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
বেশি বেশি ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি খান
ফলমূল যত বেশি পারবেন খাবেন। যেমন কলা, তরমুজ পেয়ারা, কাঁঠাল, ডালিম, পেঁপে ইত্যাদি। ফলমূল শরীরের ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঘাটতি পূরণ করে। খাবারে অবশ্যই রঙিন শাকসবজি প্রতিদিন নিয়মিত খাবেন এতে আপনার খাবার রুচির ঠিক থাকবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।
নুডুলস ও পাস্তা নিয়মিত খান
নুডুলস এবং পাস্তা যদি আপনি নিয়মিত এক মাস খান তাহলে দেখবেন আপনার ওজনের পরিবর্তন আসবে। নুডুলস খেলে এমনিতেই ওজন বাড়ে। যদি আপনি রোগা বা চিকন হয়ে থাকেন তাহলে এই পদ্ধতি অবশ্যই ফলো করবেন।
বেশি বেশি পানি পান করুন
যদি আপনি খাবারের পর পানি খুব কম করে খান তাহলে আপনি কখনো মোটা হতে পারবেন না। কারন আপনি যেসব খাবার খান তা হজম করতে এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে শরীরে পানির অনেক প্রয়োজন হয়। পানি কম খেলে খাবার পরিপূর্ণভাবে হজম হয় না।
নিয়মিত ঘুম থেকে উঠেই সকালবেলা এক গ্লাস পানি খাবেন। একটু ব্যায়াম করে এসে পুনরায় আবারো পানি খাবেন। খাবারের পর অবশ্যই যে পরিমাণ পানি খান তার চেয়ে তুলনামূলক বেশি পানি পান করবেন। পানি পান করলে আপনার ব্রেন স্বাস্থ্য সবকিছুই ভালো থাকবে।
মোটা হওয়ার খাবারের তালিকা
সকালের নাস্তা
দুধ, কলা, ডিম, খেজুর
দুপুরের খাবার
ডাল, টক দই, গরুর মাংস
রাতের খাবার
ডাল, টক দই, মুরগির মাংস
হালকা নাস্তা
বাদাম, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বীজ
যা যা খাবেন না
সাগু, কাস্টারড-পুডিং, ভাজা পোড়া খাবার
মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি
মোটা হতে হলে আপনাকে আপনার লাইফ স্টাইল মেন্টেন করে চলতে হবে। আপনাকে যে রূপ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে আপনাকে মোটা হতেই হবে।
খাবারের পরিমাণ বাড়ান
আপনি যে পরিমাণে খাবার খান তার থেকে একটু বেশি পরিমাণে নিয়মিত খাবার খান। এটাই সবথেকে মোটা হওয়ার বড় কথা। যদি আপনি নরমাল এর তুলনায় বেশি খাবার খেতে না পারেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবার রুচি বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।
প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করুন
ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে দিবে। আপনার শরীরের রোগবালাই কমে যাবে। শরীর এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
পর্যন্ত পরিমাণে ঘুমান
যদি আপনি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমান তাহলে আপনি কখনোই স্বাস্থ্যবান বা মোটা হতে পারবেন না। কারণ মানুষ যদি পর্যাপ্ত না ঘুমায় তাহলে তার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায় এবং সেই রোগা হয়ে যায়।
বেশি রাত না জেগে সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়বেন এবং প্রতিদিন অন্তত আট ঘন্টার উপরে ঘুম পারবেন। পর্যাপ্ত ঘুম হলে শরীর প্রক্রিয়াকরণ ও গঠন হতে খুব বেশি সহায়তা করে।
আপনি মাঝে মাঝে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া পর এক ঘন্টা ঘুমাবেন এতে আপনার স্বাস্থ্য ব্রেন সবকিছুই ভালো থাকবে এবং মোটা হতে সহায়তা করবে।
গ্যাস্ট্রিক বা কৃমি নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার যদি প্রচুর গ্যাস্ট্রিক থাকে তাহলে আপনি খাওয়া-দাওয়া ঠিক ভাবে করতে পারবেন না। খাওয়া দাওয়া ঠিক না হলে আপনি রোগা হয়ে যাবেন এবং মোটা হতে পারবেন না।
তাই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাবেন এবং কৃমি যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে এবং রোগা হয়ে যাবেন। সুতরাং গ্যাস্ট্রিক এবং ক্রিমে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন।
টেনশন মুক্ত থাকুন এবং বিশ্রাম নিন
কোন প্রকার টেনশন করা যাবেনা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। টেনশন শরীরকে নষ্ট করে ফেলে। টেনশন করলে খাবার রুচি নষ্ট হয়ে যায়, বিষন্নতা দেখা দেয়। ফলে স্বাস্থ্য বিনষ্ট হয়। সুতরাং সকল ধরনের দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করুন মোটা হতে চাইলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষুধ খান
যদি আপনি উপরের নিয়ম গুলো মানার পরেও ভালো ফলাফল না পান তাহলে ভালো একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত খেলে আপনার খাবার রুচি বাড়বে। আর খাবার রুচি বললে আপনি বেশি বেশি খেতে পারবেন। বেশি বেশি খাওয়া-দাওয়া করলেই আপনি মোটা হতে পারবেন খুব সহজেই।
আমাদের শেষ কথা
মোটা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘ সংকল্প করতে হবে। মোটা হওয়া খুব একটা কঠিন কোন বিষয় না। নিয়মিত তুলনামূলক বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন এবং টেনশন মুক্ত থাকলে একসময় আপনি মোটা হয়ে যাবেন।
আপনি মোটা হতে হলে একটু সময় ধৈর্যধারণ করতে হবে। ৭ দিনে বা ১০ দিনে মোটা হওয়া সম্ভব নয়। এখানে প্রচুর অধ্যাবসায় এবং পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্বাস্থবান অর্জন করা সম্ভব।
অন্য পোস্ট:-