ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম | ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন রুলস ২০২৪
ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম: ইউটিউবে সফলভাবে টিকে থাকতে হলে ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন রুলস এবং ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম কানুন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ যদি আপনি ইউটিউব কপিরাইট আইন না মেনে ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনি একসময় ইউটিউব আপনার তীরে তীরে গড়ে তোলা চ্যানেলটিকে সাসপেন্ড বা টারমিনেট করে দিতে পারে।
সুতরাং আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি ইউটিউবের কপিরাইট নিয়ম ও গাইডলাইন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে এখনই সতর্ক হতে পারেন।
ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম কানুন
ইউটিউব কপিরাইট মোট ৩ প্রকার। যথা-
- ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক
- ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক
- ইউটিউব কপিরাইট ক্লেইম
ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক কি
যদি আপনি অন্য কারো ইউটিউব ভিডিও সরাসরি ডাউনলোড করে পুনরায় ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে সেটা হবে কপিরাইট। অথবা যদি আপনি অন্য কারো ভিডিওর কিছু অংশ, ছবি, মিউজিক, ভয়েস ইত্যাদি কপি করেন তাহলে সেটা কপিরাইট হবে। এটা ইউটিউবে একদম বেআইনি এবং অন্যায়।
আপনি যদি অন্য কারো ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে ইউটিউব এর অ্যালগরিদম সেটা ধরতে পারবে। যার ভিডিও আপনি ডাউনলোড করে আপলোড করেছেন সে যদি কখনো দেখে যে আপনি তার ভিডিও আপলোড করেছেন তাহলে সে ইউটিউব এর কাছে রিপোর্ট করতে পারবে।
সে যদি কপিরাইট রিপোর্ট করে তাহলে ইউটিউব আপনার সেই ভিডিওটিকে রিমুভ করে দিবে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলে একটি স্ট্রাইক বসিয়ে দিবে।
আর এই স্ট্রাইক তিন মাস পর্যন্ত আপনার চ্যানেলে থাকবে। এই তিন মাসের ভিতরে আরও দুইটা স্ট্রাইক যদি আপনার চ্যানেলে আসে তাহলে আপনার চ্যানেলটি টেক ডাউন হয়ে যাবে অর্থাৎ ডিলিট হয়ে যাবে। তিনটা স্ট্রাইক চ্যানেলে থাকলেই সাত দিনের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেলটিকে সাসপেন্ড বা ডিলিট করে দেয়।
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক কি
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন রুলস কথাটির অর্থ হচ্ছে ইউটিউব পরিবারের নিয়ম কানুন। ইউটিউবে কাজ করতে হলে ইউটিউব পরিবারের কিছু নিয়মকানুন মেনে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হয়।
যদি আপনি ইউটিউব গাইডলাইন রুল না মেনে কাজ করেন তাহলে ইউটিউব আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়ে আপনার চ্যানেলটিকে ডিলিট করে দিতে পারে।
কখনো যদি ইউটিউবের গাইডলাইন নিয়ম ভঙ্গ করে ভিডিও আপলোড করেন সাথে সাথে স্ট্রাইক না আসলেও কিছুদিন পর ইউটিউব আপনার ভিডিওকে ডিটেক্ট করে একটি স্ট্রাইক দিয়ে দিবে।
আর সেই স্ট্রাইকটিও তিন মাস আপনার চ্যানেলে থাকবে। আর এই তিন মাসের ভিতরে আরও দুইটি যদি কমিউনিটি গাইড লাইন স্ট্রাইক অথবা কপিরাইট স্ট্রাইক আসে তাহলে আপনার চ্যানেলটি ডিলিট করে দিবে।
ইউটিউব কপিরাইট ক্লেইম কি
ইউটিউব কপিরাইট ক্লেম হলো যদি আপনি অন্য মিউজিক আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করেন তখন ওই ব্যক্তি যদি রিপোর্ট করে তাহলে কপিরাইট ক্লেইম আসবে। কপিরাইট ক্লেইম আসলে চ্যানেলের কোন ক্ষতি হবে না এবং ভিডিও ডিলিট হবে না।
শুধুমাত্র ওই ভিডিও থেকে যে ইনকাম হবে সেটা আপনার একাউন্টে আসবে না। ইনকামের টাকাটা ভিডিও বা মিউজিক এর মালিক পাবে।
অনেক চ্যানেল আছে যারা মূলত ইন্টারটেনমেন্ট নিস নিয়ে কাজ করেন উদাহরণস্বরূপ নাটক, মুভি ইত্যাদি বড় বড় যে চ্যানেলগুলো রয়েছে সেগুলোতে কনটেন্ট আইডি থাকে। আপনি নিজেও চাইলে আপনার চ্যানেলে কন্টেন্ট আইডি অ্যাড করতে পারবেন।
আর যদি কনটেন্ট আইডি অ্যাড করা থাকে তাহলে কেউ যদি আপনার মিউজিক অথবা ভিডিও কপি করে আপলোড করে তাহলে সাথে সাথে কপিরাইট ক্লেইম চলে যাবে। আপনাকে রিপোর্ট করতে হবে না।
ইউটিউব কপিরাইট স্ট্রাইক এবং কপিরাইট ক্লেইম এর মধ্যে পার্থক্য কি
ইউটিউবে কপিরাইট স্ট্রাইক এবং কপিরাইট ক্লেইম এর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসে তাহলে আপনার চ্যানেলে ক্ষতি হবে। তিন মাসের ভিতরে তিনটা স্ট্রাইক চ্যানেলে থাকলে চ্যানেল ডিলিট হয়ে যাবে।
তিনটা স্ট্রাইক কমিউনিটি গাইডলাইন অথবা কপিরাইট স্ট্রাইক যেকোনোটা থাকলেই ইউটিউব সেই চ্যানেলটিকে টারমিনেট বা ডিলিট করে দিবে।
অন্যদিকে কপিরাইট ক্লেইম আসলে চ্যানেলের কোন ক্ষতি হবে না। যে ভিডিওতে ক্লেম চলে আসবে সেই ভিডিওটা ডিলিট হবে না। শুধুমাত্র ওই ভিডিও থেকে যে ইনকাম হবে সেই ইনকামের টাকাটা ভিডিওর মালিকের কাছে যাবে। এতে আপনার চ্যানেলের উপর কোন ইফেক্ট পড়বে না।
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন রুলস ২০২৪
- 18+ content
- Hacking or cracking content
- Spam or scam content
- Copyright content
- Hateful or dangerous content
- Violent or graphic content
- Threat content
- Misleading metadata
- Child safety
- Custom thumbnail
- Suicide or self harm
- Fake engagement
- Impersonation
- Links in content
- YouTube video download content
- Movie download content
- Live Play video content
18+ content
ইউটিউব এ কখনোই খারাপ ভিডিও কোন ভিডিও আপলোড করা যাবে না। যে ধরনের ভিডিও ফ্যামিলির সাথে দেখা যায় না সে ধরনের ভিডিওই হল খারাপ কনটেন্ট।
এই ধরনের কনটেন্ট আপলোড করলে ইউটিউব আপনার ভিডিওকে ডিলিট করে দিবে এবং আপনার চ্যানেলে একটি কমিউনিটি গার্ডেন স্ট্রাইক বসিয়ে দিবে।
বর্তমানে ইউটিউবে খারাপ ভিডিও দিলেই প্রচুর পরিমাণে ভিউ চলে আসে। মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ চলে আসে। কারণ এই ধরনের ভিডিও গুলোর প্রতি বেশি আরট্রাক্টিভ হয়। কিন্তু ইউটিউব হচ্ছে একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম এখানে এ ধরনের ভিডিও গ্রহণযোগ্য নয়।
Hacking or cracking content
ইউটিউবে আপনি কোন প্রকার হ্যাকিং এর টিউটোরিয়াল দিতে পারবেন না। কেননা এগুলোর মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি হয় যা ইউটিউব কখনো গ্রহণযোগ্য করে না।
এখন বলতে পারেন ইউটিউবে তো অনেক হ্যাকিং ভিডিও আছে তাহলে তাদেরকে কেন স্ট্রাইক দিচ্ছে না। হ্যাঁ ইউটিউবে আছে কিন্তু সেগুলো বেশি দিন থাকবে না। একসময় আস্তে আস্তে সবগুলো ইউটিউব ডিলিট করে দিবে।
কোন একটা সফটওয়্যার মুড ভার্সন কিংবা প্রিমিয়াম ভার্সন আপনি ডেসক্রিপশনে দিতে পারবেন না। অনেক অ্যাপস আছে যা আমরা প্লে স্টোর থেকে কিনি। সেগুলো যদি আপনি ফ্রিতে ডেসক্রিপশনে লিংক দেন তাহলে সেই অ্যাপস কোম্পানিরা ইনকাম করতে পারে না। তাই এটাও বৈধ নয়।
আপনি ভালো কিছু শেখাতে পারেন তবে এই ধরনের হ্যাকিং এবং ক্রাকিং ভিডিও বানানো থেকে দূরে থাকুন।
Spam or scam content
কোন প্রকার স্পামিং করা যাবে না। আপনি অন্য কারো ভিডিও কমেন্টে আপনার ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন না। আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশনে কোন থার্ড পার্টি, নন ভেরিফাইড ওয়েবসাইটের লিংক দিতে পারবেন না।
তাছাড়া যদি আপনি ভিডিও ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড স্টাফিং করেন তাহলেও কমিউনিটি গাইডলাইন আসতে পারে। কিওয়ার্ড স্টাফিং মানে কমা কমা দিয়ে অনেকগুলো ট্যাগ ভিডিও রেংকিং এর আশায় ডেসক্রিপশনে দেওয়া। এটা ইউটিউব এলাও করে না।
স্পামিংমূলক ভিডিও তৈরি করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ কিভাবে রিপোর্ট করে অন্যের আইডি নষ্ট করতে হয়, কিভাবে ফেক এনআইডি কার্ড তৈরি করতে হয় ইত্যাদি।
Copyright content
অন্য কারো পারমিশন ছাড়া তার ভিডিওর কিছু অংশ বা পুরো ভিডিও মিউজিক ভয়েস কিংবা পিকচার কপি করে আপনি আপলোড করতে পারবেন না। এটা করলে সে যদি কপিরাইট দেয় তাহলে ইউটিউব আপনার ভিডিওটা ডিলিট করে দিয়ে আপনার চ্যানেলে কপিরাইট দিবে।
তবে সে যদি কপিরাইট না দেয় তাহলে কপিরাইট আসবে না। কিন্তু যদি আপনি নিয়মিত প্রত্যেকটা ভিডিও কপি করে আপলোড করেন তাহলে একদিন না একদিন Youtube আপনাকে ধরে ফেলবে। আর সেদিন আপনার ভিডিওতে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক দিয়ে আপনার চ্যানেলটিকে ডিলিট করে দেওয়া হতে পারে।
Hateful or dangerous content
আপনি একটু ভিডিওতে খারাপ কোন কথা বলতে পারবেন না। যারা রোস্টিং ভিডিও করেন তারা অনেক সময় মুখ দিয়ে অনেক খারাপ কথা বের করেন যেটা কমিউনিটি গাইডলাইন বিরোধী
ভিডিওতে এমন কিছু দেখানো যাবে না বা কথা বলা যাবে না যার মাধ্যমে কোন ধর্ম বর্ণ এর মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে অর্থাৎ উস্কানিমূলক কোন কথা বা কোন ভিডিও ফুটেজ দেখানো যাবে না
Violent or graphic content
ভায়োলেন্স বা গ্রাফিক কনটেন্ট হলো মারামারি, খুনাখুনি বা রক্তাক্ত কোন ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা যাবে না। দাঙ্গা হাঙ্গামা, খুন, পশু হত্যা ইত্যাদি ভিডিও দিলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক চলে আসবে।
Threat content
ভিডিওতে যদি কাউকে হুমকি দেওয়া হয় তাহলে সেই ভিডিওতে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসবে। অর্থাৎ যদি আপনি ভিডিওতে কোন দল জাতি বা যে কাউকে হত্যার হুমকি কিংবা প্রাণহানের হুমকি দেন তাহলে সেটা কমিউনিটি গার্ডলাইন খিলাফ হবে।
Misleading metadata
মিস লিডিং মেটাডেটা হল আপনি একটি ভিডিও তৈরি করলেন এবং সেই ভিডিওটার থামনেল, টাইটেল, ডেসক্রিপশন ও ট্যাগ মিল রাখলেন না। তাহলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসতে পারে।
আপনি ভিডিওতে যা দেখাবেন বা বলবেন সেটা যেন টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ট্যাগ এবং থামলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে বা মিল থাকে।
আপনি ভিডিওতে দেখালেন একটা এবং ক্লিক পাওয়ার আশায় আপনি টাইটেল এবং থাম্বেলে দিলেন আর একটা তাহলে হবে না।
Child safety
যদি ভিডিওতে শিশুদের মানসিক বা শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়ার মতো কোন ভিডিও হয় অথবা মানসিকভাবে অত্যাচার বা নির্যাতন করার মূলক কোনো ভিডিও হলে সেই ভিডিওকে ইউটিউব রিমুভ করে দিবে।
তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যদি আপনি ভিডিওতে কোন শিশুদের রাখেন তাহলে সেই সুযোগে যেন হাসিখুশি থাকে। তাকে যেন সেখানে অত্যাচার করা না হয়।
Custom thumbnail
থামলে অবশ্যই ভিডিওর বিষয়বস্তুকে তুলে দিতে হবে। ভিডিওতে যা দেখানো হবে তা ভিডিওর থাম্নেলে লিখতে হবে। মিস লিডিং করলে স্ট্রাইক চলে আসবে।
যদি আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্লিক পাওয়ার আশায় ভিডিওতে নেই এমন কিছু লেখেন তাহলে সেটা ইউটিউব কমিউনিটি ভঙ্গ হবে।
Suicide or self harm
ভিডিওতে যদি আপনি আত্মহত্যা করার মত কথা বলেন, বা অন্য কেউ আত্মহত্যা করার পরামর্শ দেন কিংবা নিজেকে কষ্ট দেন বা কষ্ট দেওয়ার কথা বলেন তাহলে কমিউনিটি ভঙ্গ হবে। ইউটিউবে এই ধরনের ভিডিও কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
Fake engagement
ফেক এনগেজমেন্ট বর্তমানে ইউটিউব এর গুরুত্বপূর্ণ একটি গাইডলাইন। আপনি বোর্ড সফটওয়্যার মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিওর ওয়াচ টাইম সাবস্ক্রাইবার লাইক কমেন্ট বাড়াতে পারবেন না।
আমরা অনেকেই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটকে হায়ার করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়াই। ইউটিউব এটা ডিটেক্ট করতে পারে। কেননা ইউটিউব ভালো করে চেক করতে পারে কোন লোকেশন থেকে ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার জেনারেট হচ্ছে।
কোন ডিভাইস থেকে কোন আইপি থেকে ইত্যাদি। তাই এসব চালাকি করে কোন লাভ নেই। এর আপনি আপনার চ্যানেলে স্ট্রাইক চলে আসতে পারে।
Impersonation
আপনি ইউটিউবে কোন বড় চ্যানেলকে হুবহু কপি করতে পারবেন না। অর্থাৎ তার চ্যানেলে লোগো, ব্যানার, নাম ও ডেসক্রিপশন হুবহু সবকিছু কপি করতে পারবেন না। তাহলে আপনার চ্যানেলে কমিউনিটি গার্ডেন স্ট্রাইক দেওয়া হবে।
Links in content
আপনি আপনার ইউটিউব ভিডিওর কমেন্টে থার্ড পার্টি কোন লিংক দিতে পারবেন না। কোন প্রিমিয়াম বা মোড এপস এর লিংক সরাসরি ডেসক্রিপশনে দেওয়া নিষিদ্ধ। থার্ড পার্টি গেমিং ওয়েবসাইট বা পর্নোগ্রাফি লিঙ্ক ভিডিও ডেসক্রিপশন এ দিলে এক সময় কমিউনিটি গাইড লাইন স্ট্রাইক চলে আসবে।
YouTube video download content
কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ডাউ*নলোড করতে হয় এই টপিকের ভিডিও আপলোড করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক আসবে। কেননা ইউটিউব এটা একটি রুল। ইউটিউবের ভিডিও ডাউ*নলোড করা শেখানো যাবে না।
Movie download content
কিভাবে মুভি ডাউ*নলোড করতে হয় তা ভিডিও করে দেখানো যাবে না। কেননা যারা মুভি তৈরি করে তাদেরও তো ইনকাম করার দরকার আছে। তাই আপনি যদি ফ্রিতে কিভাবে মুভি ডাউনলোড করতে হয় সেটা শিখিয়ে দেন তাহলে তাদের ইনকাম হবে না। আর এজন্যই ইউটিউবে এটা নিষিদ্ধ।
Live play video content
কিভাবে লাইভ খেলা দেখতে হয় এই টপিকের উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করলে আপনি কমিউনিটি খেয়ে যেতে পারেন। অনেকেই ক্রিকেট কিংবা ফুটবল লাইভ কিভাবে দেখতে হয় এর উপর ভিডিও তৈরি করেন।
অনেকেই বিশ্বকাপ খেলায় আসলেই কিভাবে লাইভ দেখতে হয়, কিভাবে খেলা দেখতে হয় ইত্যাদির ভিডিও বানায় যেটা অবৈধ মনে করে এস্টাট দিয়ে দেয়। এমনটা অনেকের ক্ষেত্রে হয়েছে। এটা নিয়ে কখনোই ভিডিও আপলোড করবে না না হলে স্ট্রাইক আসবে।
ইউটিউব কপিরাইট থেকে বাঁচার উপায়
ইউটিউব কপিরাইট থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে নিজের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে ক্যারিয়ার করতে হবে। আপনি নিজে ক্যামেরার সামনে এসে কথা বলে ভিডিও তৈরি করেন তাহলে লাইফ টাইম ইউটিউবে টিকে থাকতে পারবেন।
ইউটিউবে সার্চ করলে বিভিন্ন টপিক আইডিয়া পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনি কোন ধরনের ভিডিও বানাবেন তা ঠিক করতে পারবেন।
যদি আপনি কপিরাইট কন্টেন নিয়ে কাজ করেন তাহলে কিছু সময়ের জন্য আপনি ইউটিউবে টিকে থাকতে পারবেন এবং কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন পরবর্তীতে হঠাৎ করে আপনার চ্যানেল দেখবেন হারিয়ে গেছে।
এমন অনেক বড় বড় মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অলা চ্যানেল সাসপেন্ড হয়েছে কপিরাইট এর জন্য।
আমাদের শেষ কথা
ইউটিউব কপিরাইট নিয়ম এবং কমিউনিটি গাইডলাইন সম্পর্কে আশা করছি আপনাদের পরিপূর্ণ ধারণা হয়েছে। এই নিয়ম-কানুন মেনে আপনি ইউটিউবে কাজ করলে আপনার সফলতা আসবে এবং আপনি কপিরাইট থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
এই পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন এবং নিচে কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন।
hello